আমার খাবার রক্ত
দীপঙ্কর ঘারামি
সে দিন ছিলো ১০ মে ২০১৯।
হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি…
ছোটা ছুটি ছিল শুধু একটি জীবনের টানে!
এক গুচ্ছ আশা প্রত্যাশাকে
বেঁধে নিয়ে অসীম সীমানায় চলার স্বপ্ন।
জীবনের জন্য জীবন ছুটে বেড়ায়,
ছুটে বেড়ায় এক পাউচ রক্তের আশায়।
অনেক কিছুই উপলব্ধি করেছিলাম ঐ দিন গুলিতে!
কেউ রক্ত দান করে জীবন দানের আশায়,
আবার কেউ পেটের জ্বালায়।
প্রথম আমার সমস্যার সঙ্গী এক জন অটোচালক।
রক্তের চাহিদা গুলো,তার দ্বারা মেটাতে থাকি।
আমার চাহিদা বাড়তে থাকে!
তখন একটা নয়, দুটা নয় দরকার চার টা।
সেই দিনটা ছিলো ১৮ মে ২০১৯।
এক দাদার ফোন, এক ঘর ডোনারের নাম পেলাম।
উপায় নেই তাদের কল করার আমি যে একা।
আবার আরেকটি ফোন।
আমার বাড়ি থেকে তোমার কাছে যেতে…
ফ্লাইটে মাত্র এক ঘন্টার পথ।
বন্ধুর ভালোবাসার টানে দূরত্ব টাও ছোটো লাগে।
বললাম না এসো না আমি আছিতো…
অচেনা জায়গা গুলো আমায় খুব চিনে গেছে।
আবার ফোনে আরেকটা কল…
মৃদু স্বরে কাঁপা গলায়,
জান তুমি কিন্তু রক্ত দেবে না।
দৌড়ে ছুটে গেলাম পাশে, হাসি মুখে বললাম…
আরে তুমি জানো ডাক্তার আমার রক্ত নেবে না।
হঠাৎ নার্স এসে বললো রক্ত পাওয়া গেছে।
তার অশান্ত মন আস্তে আস্তে শান্ত হলো।
আমি ওকে বললাম……
যাই পেমেন্টা করে দেই তুমি খেয়ে নাও।
আমার হাত ধরে বললো তুমি কী এখোনো বোঝোনি?
আমার খাবার যে রক্ত……আমার খাবার রক্ত।